রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩

সদরপুর বাজারের খাল দখলের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশন

সদরপুর উপজেলা সদর বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহমান ভুবনেশ্বর নদ থেকে বাইশ-রশির কাটাখালি পর্যন্ত খড়স্রোতা খালটির উতসমুখে ব্রীজ থেকে সদরপুর বাজার পর্যন্ত অবৈধ পাকা স্থাপনা ও দোকানপাট নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার ব্যবসায়ী এবং জনসাধারন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভুবনেশ্বর নদের ব্রীজ সংলগ্ন খালটির উতস মুখে জেলা পরিষদের খালের উপর দোকানপাট নির্মাণ শরু হয়। ব্রীজ থেকে কৃষ্ণপুর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৫’শ গজ এলাকায় প্রায় শতাধিক আধাপাকা ও টিনশেড দোকান নির্মাণ করায় খালটির উতস মুখ প্রায় বন্ধের পথে। গত বছর ও চলতি বছর উক্ত খালটি দিয়ে কোন পানির প্রবাহ না থাকায় প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় খালের পানি জমে থেকে পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে খালটির দু’তীরের প্রায় কয়েক হাজার অধিবাসি পচা পানির গন্ধে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাজারের স্টেডিয়াম মার্কেট সংলগ্ন ব্রীজের পাশে জনৈক এক সরকারি কর্মকর্তা বহুতলা মার্কেট নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথ সম্পূর্ণ বন্ধের পথে। সদরপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, অপরিষ্কার ময়লা পানির গন্ধে তারা বাজারে বসে দোকান করতে পারছে না। এলাকাবাসির দাবী খালটির উতস মুখসহ প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জরুরী ভিত্তিতে খালটি খনন করার প্রয়োজন। এ ছাড়া উতস মুখের ব্রীজ থেকে ইটভাটা সিনেমা হল এলাকা ও সরকারি হাইস্কুল এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে খনন কাজ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি খালটির ওপর নির্মিত অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় জনগণের জোর দাবী উঠেছে।
এ ব্যাপারে ওই সকল দোকান ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানান, খালি জায়গা পেয়ে তারা দোকান নির্মাণ করেছে, সরকার বললে তারা চলে যাবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ভূমি জানান, যদি সরকারি খাল দখল করে কেউ দোকানপাট নির্মাণ করে থাকে, তাহলে তাদের আইনগতভাবে উচ্ছেদ করা হবে।

       Copy Then Paste
   The Site Of Newspeper

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন